এশিয়ার সবচেয়ে বড় আম গাছ
- আপডেট সময় : ১২:০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
এশিয়ার সবচেয়ে বড় আম গাছ
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত ইউনিয়ন হরিণমারী। আর এই ইউনিয়নের নয়াপাড়ার গ্রামেই রয়েছে প্রায় ২০০ বছর বয়সী এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি আম গাছ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন একটা বিশালাকৃতির ঝাউগাছ। গাছটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর ডাল। এই আমগাছটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় আমগাছ হিসেবে পরিচিত।
গাছের ডালগুলো কান্ড থেকে বেরিয়ে একটু উপরে উঠেই মাটিতে নেমে গেছে। তারপর আবারও উঠেছে উপরের দিকে। দেখতে অনেকটা ঢেউয়ের মতো। কান্ড থেকে বের হয়েছে গাছটির ২০টি শাখা। শাখাগুলোর দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৫০ ফুট। গাছের প্রতিটি ডালে অনায়াসে হাঁটাচলা ও বসা যায়। ডালগুলো একেকটা মাঝারি সাইজের আমগাছের মতো।
তিন বিঘা জায়গাজুড়ে গাছটির অবস্থান। এর বর্তমান মালিক দুই ভাই সাইদুর রহমান ও নূর ইসলাম। তারাও সঠিক বলতে পারেন না যে, ঠিক কবে গাছটির চারা রোপণ করা হয়েছিল। তাদেরও ধারণা প্রায় ২০০ বছর হবে গাছটির বয়স।
উপমহাদেশ জুড়ে সূর্যপুরী জাতের এত বড় আমগাছ আর নেই। ফলে এটি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে তাদের উপস্থিতি থাকে বেশি।
সাইদুর রহমান বলেন, ‘গাছটি আমার বাবার দাদার দাদা লাগিয়েছিলেন বলে শুনেছি। এর বয়স আনুমানিক ২০০ বছর হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ দেখতে আসে।
‘প্রতিজনের কাছ থেকে আমরা ২০ টাকা করে নিই। টিকিট বিক্রি করে যা পাই, তা দিয়ে আমার দুই ভাই মিলে গাছটির যত্ন নিই।’
নুর ইসলাম বলেন, ‘গাছের বয়স বেশি হলেও গাছে প্রতিবছর অনেক আম আসে। অন্য আমের তুলনায় এই আমের দাম বেশি।
‘গাছটি যাতে ভালো থাকে এর জন্য নিয়মিত স্প্রে ও ওষুধ ব্যবহার করি। যারা এই আমগাছ দেখতে আসে তারাই আম কিনে নিয়ে যায়। আমের মৌসুমে গাছের পাশেই তা বিক্রি করা হয়।’
আমগাছ দেখতে আসা বিক্রম নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের দেশে এত সুন্দর আর এত বড় আমগাছ আছে যে আমরা সবাই গর্বিত
বীরগঞ্জ থেকে আসা লিজা আক্তার বলেন, ‘অনেক দিন ধরে গাছটি দেখার ইচ্ছা ছিল। নানা কারণে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। আজ আসার পর দারুণ লাগছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হরিণমারীতে যে আমগাছটি রয়েছে, তা আমাদের জন্য গৌরবের। প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে গাছটি। ‘আমরা সরকারের তরফ থেকে এটাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করছি। আর গাছটি কীভাবে আরও বেশি দিন বেঁচে থাকে, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’