ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

এমপি আনার হত্যা: গনমাধ্যমকে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য প্রচার বন্ধের নির্দ্দেশ আদালতের

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে

হাইকোর্টের রায়ের আলোকে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলাসহ তদন্তাধীন মামলা নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া বন্ধ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গণমাধ্যমে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য প্রচার বন্ধ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির তাদের এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গিয়ে নিখোঁজ হন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী তিনি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আজ অবধি তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ হিসেবে পরিণত হয়েছে। ইলেকট্রনিক, প্রেস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিয়েল টাইম আপডেট প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করছে। সময়ে সময়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে। সাংবাদিক বন্ধুরা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। প্রেক্ষিত বিবেচনায় গণমাধ্যমের সামনে কর্তৃপক্ষ উত্তর প্রদান করছে। ছোটখাটো অনেক বিষয় উঠে আসছে। লাইভ সম্প্রচার হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম পছন্দ অনুযায়ী হেডলাইন করছে। ফ্রিল্যান্সার ব্যক্তিরা মরদেহের খণ্ডাংশ উল্লেখ করে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচার করছেন। এ বিষয়ে হরেক রকম বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র (৩৯ বিএলডি ৪৭০) মামলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। হাইকোর্ট বলেছেন, বিভিন্ন আলোচিত অপরাধের তদন্ত চলাকালে পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করার আগেই বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়, যা অনেক সময় মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অমর্যাদাকর ও অনুমোদনযোগ্য নয়। এমনকি, বিভিন্ন মামলার তদন্ত সম্পর্কে অতি উৎসাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করা হয়ে থাকে। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে একজন অভিযুক্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে বলা যাবে না যে তিনি প্রকৃত অপরাধী বা তার দ্বারাই অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা সংগত নয় যে, তার মর্যাদা ও সম্মানহানি হয়। তদন্ত চলাকালে অর্থাৎ পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের আগে গণমাধ্যমে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তি বা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে এমন কোনো বক্তব্য উপস্থাপন সমীচীন নয়, যা তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে বিতর্ক বা প্রশ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

নোটিশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের আলোকে গণমাধ্যমে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য প্রচার বন্ধ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

এমপি আনার হত্যা: গনমাধ্যমকে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য প্রচার বন্ধের নির্দ্দেশ আদালতের

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

হাইকোর্টের রায়ের আলোকে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলাসহ তদন্তাধীন মামলা নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া বন্ধ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গণমাধ্যমে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য প্রচার বন্ধ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির তাদের এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গিয়ে নিখোঁজ হন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী তিনি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আজ অবধি তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ হিসেবে পরিণত হয়েছে। ইলেকট্রনিক, প্রেস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিয়েল টাইম আপডেট প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করছে। সময়ে সময়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে। সাংবাদিক বন্ধুরা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। প্রেক্ষিত বিবেচনায় গণমাধ্যমের সামনে কর্তৃপক্ষ উত্তর প্রদান করছে। ছোটখাটো অনেক বিষয় উঠে আসছে। লাইভ সম্প্রচার হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম পছন্দ অনুযায়ী হেডলাইন করছে। ফ্রিল্যান্সার ব্যক্তিরা মরদেহের খণ্ডাংশ উল্লেখ করে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচার করছেন। এ বিষয়ে হরেক রকম বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র (৩৯ বিএলডি ৪৭০) মামলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। হাইকোর্ট বলেছেন, বিভিন্ন আলোচিত অপরাধের তদন্ত চলাকালে পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করার আগেই বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়, যা অনেক সময় মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অমর্যাদাকর ও অনুমোদনযোগ্য নয়। এমনকি, বিভিন্ন মামলার তদন্ত সম্পর্কে অতি উৎসাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করা হয়ে থাকে। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে একজন অভিযুক্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে বলা যাবে না যে তিনি প্রকৃত অপরাধী বা তার দ্বারাই অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা সংগত নয় যে, তার মর্যাদা ও সম্মানহানি হয়। তদন্ত চলাকালে অর্থাৎ পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের আগে গণমাধ্যমে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তি বা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে এমন কোনো বক্তব্য উপস্থাপন সমীচীন নয়, যা তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে বিতর্ক বা প্রশ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

নোটিশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের আলোকে গণমাধ্যমে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য প্রচার বন্ধ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।