ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এলজিইডির নতুন প্রধান প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বকশীগঞ্জে নিয়োগে জালিয়াতি: প্রধান শিক্ষক ও তার শ্যালিকার বেতন বন্ধ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন একই পরিবারের তিন সদস্য দুমকিতে গৃহবধুর আত্মহত্যা নির্মল বায়ু সবার অধিকার’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা বকশীগঞ্জে চার দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৭২ কর্মকর্তা- কর্মচারী গণছুটিতে ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ জিয়া আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে সংসার চালাতে নিরাপত্তাকর্মীর চাকুরি করছেন জাতীয়দলের নাসুমের বাবা সারা বাংলা মামার বরিশালটা আমার,নতুন বাংলাদেশে সেই গডফাদারদের কোনো স্থান নেই:গাজী কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবে ঈদুল মিলাদুন্নবী পালিত হয়

একসঙ্গে যৌতুকবিহীন বিয়ে করে ইচ্ছেপূরণ দুই বন্ধুর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

প্রায় পাঁচ বছর একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের হারুন অর রশিদ ও মুরাদ আলম। এবার বিয়ের পিড়িতেও বসলেন একসঙ্গে, তাও আবার যৌতুকবিহীন। যৌতুক ছাড়াই ১ লাখ টাকা দেনমোহর নগদ পরিশোধ করে স্ত্রীকে গ্রহণ করেছেন এই দুই বন্ধু।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ ক্রীড়া সংস্থা মাঠে তাদের দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

সমাজে যৌতুকবিহীন বিয়ের উৎসাহ দিতে ব্যতিক্রম এই আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্ট (জিআরটি)। বিয়ে পরবর্তী জীবন সুখের করতে বর ও কনেকে আসবাবপত্র, সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছে সংস্থাটি।

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাদিহাট গ্রামের আ. হামিদের ছেলে হারুন অর রশিদের সঙ্গে একই উপজেলার চন্দন চহট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছা. বুশরা আক্তারের এবং ধুলঝারী গ্রামের সেরকেট আলীর ছেলে মুরাদ আলমের সাথে কাদিহাট আমতলা গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে আফসানা আক্তারের বিয়ে হয়।

বর হারুন অর রশিদ ও মুরাদ আলম জানান, দুই বন্ধু একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তারা। একসঙ্গে যৌতুকবিহীন বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল তাদের। সেই আশা পূরণ হয়েছে।

 

এদিকে দুই বন্ধুর সঙ্গে একইদিনে যৌতুক বিহীন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে খুশি কনে বুশরা ও আফসানা। দাম্পত্য জীবনে সবার দোয়া চেয়েছেন তারা।

 

আয়োজকরা জানান, চার পরিবারের সম্মতিতে যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়। যৌতুকবিহীন বিয়ে করার উৎসাহ হিসেবে বরযাত্রী ও বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। আগামীতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ‘গ্রামে বিয়ের পর যৌতুক লেনদেনকে কেন্দ্র করে দাম্পত্য জীবনে তিক্ততা তৈরি হয়। পরে অনেক সংসার ভেঙে যায়। সামাজিক এমন অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে আসতে যৌতুকবিহীন বিয়ের বিকল্প নেই। সংস্থাটির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

একসঙ্গে যৌতুকবিহীন বিয়ে করে ইচ্ছেপূরণ দুই বন্ধুর

আপডেট সময় : ১২:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

প্রায় পাঁচ বছর একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের হারুন অর রশিদ ও মুরাদ আলম। এবার বিয়ের পিড়িতেও বসলেন একসঙ্গে, তাও আবার যৌতুকবিহীন। যৌতুক ছাড়াই ১ লাখ টাকা দেনমোহর নগদ পরিশোধ করে স্ত্রীকে গ্রহণ করেছেন এই দুই বন্ধু।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ ক্রীড়া সংস্থা মাঠে তাদের দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

সমাজে যৌতুকবিহীন বিয়ের উৎসাহ দিতে ব্যতিক্রম এই আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্ট (জিআরটি)। বিয়ে পরবর্তী জীবন সুখের করতে বর ও কনেকে আসবাবপত্র, সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছে সংস্থাটি।

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাদিহাট গ্রামের আ. হামিদের ছেলে হারুন অর রশিদের সঙ্গে একই উপজেলার চন্দন চহট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছা. বুশরা আক্তারের এবং ধুলঝারী গ্রামের সেরকেট আলীর ছেলে মুরাদ আলমের সাথে কাদিহাট আমতলা গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে আফসানা আক্তারের বিয়ে হয়।

বর হারুন অর রশিদ ও মুরাদ আলম জানান, দুই বন্ধু একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তারা। একসঙ্গে যৌতুকবিহীন বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল তাদের। সেই আশা পূরণ হয়েছে।

 

এদিকে দুই বন্ধুর সঙ্গে একইদিনে যৌতুক বিহীন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে খুশি কনে বুশরা ও আফসানা। দাম্পত্য জীবনে সবার দোয়া চেয়েছেন তারা।

 

আয়োজকরা জানান, চার পরিবারের সম্মতিতে যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়। যৌতুকবিহীন বিয়ে করার উৎসাহ হিসেবে বরযাত্রী ও বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। আগামীতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ‘গ্রামে বিয়ের পর যৌতুক লেনদেনকে কেন্দ্র করে দাম্পত্য জীবনে তিক্ততা তৈরি হয়। পরে অনেক সংসার ভেঙে যায়। সামাজিক এমন অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে আসতে যৌতুকবিহীন বিয়ের বিকল্প নেই। সংস্থাটির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’