ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্থ হবে—- সাতক্ষীরায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত মাদক সেবনের অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লার চঞ্চলসহ ৩জন গ্রেফতার হারুয়ালছড়ি বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার: বাকৃবির গবেষণা যে কারণে বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন স্বেচ্ছাসেবকরা নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে স্বীকৃত – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজ ৭১ অনলাইন পোর্টালে”প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত আশাশুনির হাঁড়িভাঙ্গা বাজারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত দেবিদ্বারে রাষ্ট্র মেরামতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ নলতায় চেয়ারম্যান কাপ ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে হাজিপুর ফুটবল একাদশ জয়ী

একমাত্র ছেলে নাইমকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে

একমাত্র ছেলে নাইমকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা

ছেলের মৃত্যুর শোকে বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে নিহত তরুণ নাঈমের মা লাকি বেগম। একমাত্র ছেলে হারিয়ে প্রায় পাগল মা। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নাঈম সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে পাড়ি জমান ঢাকায়। বাবা-মায়ের কষ্ট লাঘব করতে এইচএসসি পাস করা নাঈম রাতদিন পরিশ্রম করত।

নাঈম বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না এলাকার দরিদ্র ভ্যানচালক নান্টু ও লাকি দম্পতির একমাত্র ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন নাঈম। সে ঢাকা বেইলি রোডে কোজি কটেজ ভবনে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করত বলে জানায় স্বজনরা।
তারা জানান, এর আগে নাইম অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত। মাত্র তিন দিন হলো বেইলি রোডের ভবনটিতে চাকরি নিয়েছে। পুরো বিল্ডিংয়ে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল তখন ভবনের ছাদে গিয়ে বাবাকে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানায় সে। পরে নাঈমকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। শেষবারের মতো নিথর দেহে ছেলেকে দেখতে হলো বাবার।

কান্নাজড়ানো কণ্ঠে নাঈমের বাবা নান্টু বলেন, আমার নাঈম ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। নাইমের মা লোকের বাড়িতে কাজ করত, ওহ ফোন করে বলেছিল বাবা মাকে আর লোকের বাড়িতে কাজে পাঠাবে না, তুমিও ভ্যানগাড়ি চালানো ছেড়ে দাও। আমি চাকরি করে টাকা পাঠাব।

ওর কোনো সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য টাকার দরকার, সেই টাকা জোগাড় করার জন্য ঢাকা যায়। নাইম ফোনে বলেছিল বড় একটা ভবনের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করছে সে। বাবার কাঁধে ছেলের লাশ কত কষ্টের কীভাবে বোঝাব।

নাঈমের এমন অকাল মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। বাড়িতে ছুটে আসছে স্বজন ও এলাকাবাসী। নাঈমের নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

একমাত্র ছেলে নাইমকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা

আপডেট সময় : ১১:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

একমাত্র ছেলে নাইমকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা

ছেলের মৃত্যুর শোকে বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে নিহত তরুণ নাঈমের মা লাকি বেগম। একমাত্র ছেলে হারিয়ে প্রায় পাগল মা। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নাঈম সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে পাড়ি জমান ঢাকায়। বাবা-মায়ের কষ্ট লাঘব করতে এইচএসসি পাস করা নাঈম রাতদিন পরিশ্রম করত।

নাঈম বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না এলাকার দরিদ্র ভ্যানচালক নান্টু ও লাকি দম্পতির একমাত্র ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন নাঈম। সে ঢাকা বেইলি রোডে কোজি কটেজ ভবনে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করত বলে জানায় স্বজনরা।
তারা জানান, এর আগে নাইম অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত। মাত্র তিন দিন হলো বেইলি রোডের ভবনটিতে চাকরি নিয়েছে। পুরো বিল্ডিংয়ে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল তখন ভবনের ছাদে গিয়ে বাবাকে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানায় সে। পরে নাঈমকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। শেষবারের মতো নিথর দেহে ছেলেকে দেখতে হলো বাবার।

কান্নাজড়ানো কণ্ঠে নাঈমের বাবা নান্টু বলেন, আমার নাঈম ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। নাইমের মা লোকের বাড়িতে কাজ করত, ওহ ফোন করে বলেছিল বাবা মাকে আর লোকের বাড়িতে কাজে পাঠাবে না, তুমিও ভ্যানগাড়ি চালানো ছেড়ে দাও। আমি চাকরি করে টাকা পাঠাব।

ওর কোনো সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য টাকার দরকার, সেই টাকা জোগাড় করার জন্য ঢাকা যায়। নাইম ফোনে বলেছিল বড় একটা ভবনের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করছে সে। বাবার কাঁধে ছেলের লাশ কত কষ্টের কীভাবে বোঝাব।

নাঈমের এমন অকাল মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। বাড়িতে ছুটে আসছে স্বজন ও এলাকাবাসী। নাঈমের নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।