ঢাকা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে চোর সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি, ৩ দিন পর মৃত্যু নীলফামারীতে মাদ্রাসার সুপারের অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের পানি-স্যালাইন ও কলম বিতরণ শতাধিক মামলা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম শহরজুড়ে চুরি-ডাকাতি:নিয়ন্ত্রণে ডাকাত -৩ সুবল কাটি বালিকা বিদ্যালয়ে মোঃ জাকির হোসেনের প্রথম সভা দামুড়হুদায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনরের গো গ্রীন সেন্টার পরিদর্শন মানবতাই শ্রেষ্ঠ, ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা:(মাতপ,স) সিলেট তদন্ত কমিটির বিচার কার্যকাল বিলম্ব হওয়ায় বাকৃবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল খুবির ভর্তি পরীক্ষায় জুলাই আন্দোলন ও মুগ্ধকে নিয়ে প্রশ্ন মেহেদীর রং শুকানোর আগেই না ফেরার দেশে ফটিকছড়ির প্রবাসী মঞ্জু

একমাত্র ছেলে নাইমকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

একমাত্র ছেলে নাইমকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা

ছেলের মৃত্যুর শোকে বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে নিহত তরুণ নাঈমের মা লাকি বেগম। একমাত্র ছেলে হারিয়ে প্রায় পাগল মা। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নাঈম সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে পাড়ি জমান ঢাকায়। বাবা-মায়ের কষ্ট লাঘব করতে এইচএসসি পাস করা নাঈম রাতদিন পরিশ্রম করত।

নাঈম বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না এলাকার দরিদ্র ভ্যানচালক নান্টু ও লাকি দম্পতির একমাত্র ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন নাঈম। সে ঢাকা বেইলি রোডে কোজি কটেজ ভবনে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করত বলে জানায় স্বজনরা।
তারা জানান, এর আগে নাইম অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত। মাত্র তিন দিন হলো বেইলি রোডের ভবনটিতে চাকরি নিয়েছে। পুরো বিল্ডিংয়ে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল তখন ভবনের ছাদে গিয়ে বাবাকে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানায় সে। পরে নাঈমকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। শেষবারের মতো নিথর দেহে ছেলেকে দেখতে হলো বাবার।

কান্নাজড়ানো কণ্ঠে নাঈমের বাবা নান্টু বলেন, আমার নাঈম ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। নাইমের মা লোকের বাড়িতে কাজ করত, ওহ ফোন করে বলেছিল বাবা মাকে আর লোকের বাড়িতে কাজে পাঠাবে না, তুমিও ভ্যানগাড়ি চালানো ছেড়ে দাও। আমি চাকরি করে টাকা পাঠাব।

ওর কোনো সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য টাকার দরকার, সেই টাকা জোগাড় করার জন্য ঢাকা যায়। নাইম ফোনে বলেছিল বড় একটা ভবনের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করছে সে। বাবার কাঁধে ছেলের লাশ কত কষ্টের কীভাবে বোঝাব।

নাঈমের এমন অকাল মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। বাড়িতে ছুটে আসছে স্বজন ও এলাকাবাসী। নাঈমের নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

একমাত্র ছেলে নাইমকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা

আপডেট সময় : ১১:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

একমাত্র ছেলে নাইমকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা

ছেলের মৃত্যুর শোকে বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে নিহত তরুণ নাঈমের মা লাকি বেগম। একমাত্র ছেলে হারিয়ে প্রায় পাগল মা। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নাঈম সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে পাড়ি জমান ঢাকায়। বাবা-মায়ের কষ্ট লাঘব করতে এইচএসসি পাস করা নাঈম রাতদিন পরিশ্রম করত।

নাঈম বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না এলাকার দরিদ্র ভ্যানচালক নান্টু ও লাকি দম্পতির একমাত্র ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন নাঈম। সে ঢাকা বেইলি রোডে কোজি কটেজ ভবনে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করত বলে জানায় স্বজনরা।
তারা জানান, এর আগে নাইম অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত। মাত্র তিন দিন হলো বেইলি রোডের ভবনটিতে চাকরি নিয়েছে। পুরো বিল্ডিংয়ে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল তখন ভবনের ছাদে গিয়ে বাবাকে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানায় সে। পরে নাঈমকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। শেষবারের মতো নিথর দেহে ছেলেকে দেখতে হলো বাবার।

কান্নাজড়ানো কণ্ঠে নাঈমের বাবা নান্টু বলেন, আমার নাঈম ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। নাইমের মা লোকের বাড়িতে কাজ করত, ওহ ফোন করে বলেছিল বাবা মাকে আর লোকের বাড়িতে কাজে পাঠাবে না, তুমিও ভ্যানগাড়ি চালানো ছেড়ে দাও। আমি চাকরি করে টাকা পাঠাব।

ওর কোনো সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য টাকার দরকার, সেই টাকা জোগাড় করার জন্য ঢাকা যায়। নাইম ফোনে বলেছিল বড় একটা ভবনের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করছে সে। বাবার কাঁধে ছেলের লাশ কত কষ্টের কীভাবে বোঝাব।

নাঈমের এমন অকাল মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। বাড়িতে ছুটে আসছে স্বজন ও এলাকাবাসী। নাঈমের নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।