উপকূলে প্লাস্টিক দূষন আর নয়,আসুন প্রতিরোধ গড়ে তুলি

- আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ-
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যযাপন উপলক্ষ্যে র্যালি, আলোচনা সভা, বৃক্ষ রোপন, পরিষ্কার অভিযান ও পরিবেশ বান্ধব ডাস্টবিন বিতরণ করা হয়েছে মঙ্গলবার (৩জুন)সকাল ১০ টায়
নীলডুমুর বাজারে। ভামিয়া ও বনবিবিতলা সিসিআরসি এর সহযোগীতায়,
সিসিডিবি-পিসিআরসিবি প্রকল্প ফেইজ-২, শ্যামনগর এর বাস্তবায়নে ভামিয়া ও বনবিবিতলা সিসিআরসি’র কার্যনির্বাহী কমিটি, ইয়ুথ সদস্য এবং ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর অংশগ্রহনে
উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী নীলডুমুর আলাউদ্দীন মার্কেট থেকে র্যালি নিয়ে নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খেয়া ঘাটে যেয়ে উপকূলে প্লাস্টিক দূষন আর নয় এবিষয়ের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,
উপকূলীয় অঞ্চল আমাদের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক দূষণ এই অঞ্চলের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে ভাসমান প্লাস্টিক, জমে থাকা বোতল, প্যাকেট, ও অন্যান্য বর্জ্য উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে এবং স্থানীয় মানুষের জীবিকা বিপন্ন করছে।
প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব:
১. জলজ প্রাণীর মৃত্যু: প্লাস্টিক গ্রহণ করে অনেক সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাচ্ছে।মাছ ও পাখির পেটে প্লাস্টিক জমে তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে।
২. পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব: সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় পর্যটকদের সংখ্যা কমছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
৩. মানবস্বাস্থ্যের ঝুঁকি: প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণিকা খাদ্য ও পানিতে মিশে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে নানা রোগের কারণ হতে পারে।
সমাধান ও করণীয়:
সচেতনতা বৃদ্ধি: উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর ব্যবহার: প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাপড়, বাঁশ বা কাগজের তৈরি পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে
সরকারি উদ্যোগ: কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপকূল এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে হবে।
পরিষ্কার অভিযান: নিয়মিত উপকূল পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহার:
উপকূল রক্ষা করা মানে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা। প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ক্ষতি হবে অপরিমেয়।“ প্লাস্টিক দূষণ আর নয়।”
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বে-সরকারি সংস্থা এর উপজেলা সমন্বয়ক মিস্টার সুজন কুমার বিশ্বাস, সিসিআরসি”র সভাপতি আব্দুলাহ আল-মামুন, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের সভাপতি জি, এম দেদারুল আলম, ইয়ুথনেট গ্লোবাল সাতক্ষীরা জেলাউপকূলে সমন্বয়কারী ইমাম হোসেন, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হালিম, ফয়সাল আহমেদ, বেসরকারি সংস্থা সিসিডিবির জগদীশ কুমার মন্ডলসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।