ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রায়পুরায় নির্বাচনপূর্ব শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় চরাঞ্চলে কেন্দ্র পরিদর্শক দুমকিতে নারীকে মারধর ও ঘর লুটপাটসহ প্রাণনাশের হুমকি বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে পবিপ্রবিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত  টেকসই কৃষির চাবিকাঠি প্রযুক্তি -পবিপ্রবি উপাচার্য ড. কাজী রফিকুল ইসলাম শিশু আফিয়া কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা হাটহাজারীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : ১০ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ পুনরুদ্ধার দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে জরুরি আলোচনা সভা বিএনপির ১১৩ আসনে প্রার্থী বদলে রেকর্ড: শীর্ষ আলোচিত সর্ব মহলে আগৈলঝাড়ায় সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ৬ বছরেরও উদ্বোধন হয়নি মডেল মসজিদ

উজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি:-

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস (৬৫) এর নোংরামি ও নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে।

একটি কলেজ পড়ুয়া যুবতী মেয়েকে দীর্ঘ ১০ বছর লোক চক্ষুর অন্তরালে রেখে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমের অভিনয় করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে অবশেষে বিবাহ করতে বাধ্য হয়। নির্যাতিত অসহায় ঐ যুবতী (লতা ছদ্মনাম) জানান , তার বাড়ি জামবড়ি গ্রামে , আর অভিযুক্ত সুনিল কুমার বিশ্বাসের বাড়ি পাশের গ্রাম হারতায়।

তিনি ( সুনিল কুমার বিশ্বাস ) ২০১২ সালে লতা কলেজে পড়াশোনা করার সুবাদে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ২০১৫ সালে বরিশালে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

২০১৭ সালে তার গর্ভে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তার বয়স ৭ বছর। এদিকে দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসায় তিনি যেন কোন কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাকে বার বার অনুরোধ করা সত্যেও প্রকাশ্যে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে নারাজ সুনিল। কেননা তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা রয়েছে এবং সমাজে ছোট হওয়ার ভয়তে।

এ নিয়ে প্রায়ই চলতো স্বামী- স্ত্রীর দন্দ। শত প্রতিকুলতার মাঝেও (লতা )তার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে আইন বিভাগের পড়াশোনা শেষ করেন। এদিকে প্রায়ই ঘড় ভাড়া ও পরিবারের খরচা-খরচ নিয়ে চলতো ঝামেলা।

কোন উপায় না পেয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারির স্বরণাপন্ন হন। এতে সুনিল কুমার বিশ্বাস আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানিতে তার আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়।

ঐ অসহায় নারী লতা, সন্তান নিয়ে গত ২২ এপ্রিল সোমবার দুপুরে হারতায় সুনিল কুমার বিশ্বাসের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে টেনে হিচরে বের করে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি (লতা ছদ্মনাম) আরো জানান এ ছাড়া ও তার আরো অনেক নোংরামি প্রয়োজনে ফাঁস করে দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ দিকে অভিযুক্ত সুনিল কুমার বিশ্বাস প্রথমে সাংবাদিকদের কাছে বিবাহের কথা অস্বীকার করলেও পরে বিবাহিত স্ত্রী হিসেবে তাকে তালাক দিয়েছেন বলে জানান। তবে সন্তান ডিএনএ টেস্টের প্রমাণ পেলে বউ ও সন্তানদের গ্রহন করবেন বলে জানান ঐ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুনিল বিশ্বাস। বিষয়টি নিয়ে চলছে পুরো উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

উজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস

আপডেট সময় : ০৩:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি:-

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস (৬৫) এর নোংরামি ও নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে।

একটি কলেজ পড়ুয়া যুবতী মেয়েকে দীর্ঘ ১০ বছর লোক চক্ষুর অন্তরালে রেখে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমের অভিনয় করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে অবশেষে বিবাহ করতে বাধ্য হয়। নির্যাতিত অসহায় ঐ যুবতী (লতা ছদ্মনাম) জানান , তার বাড়ি জামবড়ি গ্রামে , আর অভিযুক্ত সুনিল কুমার বিশ্বাসের বাড়ি পাশের গ্রাম হারতায়।

তিনি ( সুনিল কুমার বিশ্বাস ) ২০১২ সালে লতা কলেজে পড়াশোনা করার সুবাদে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ২০১৫ সালে বরিশালে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

২০১৭ সালে তার গর্ভে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তার বয়স ৭ বছর। এদিকে দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসায় তিনি যেন কোন কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাকে বার বার অনুরোধ করা সত্যেও প্রকাশ্যে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে নারাজ সুনিল। কেননা তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা রয়েছে এবং সমাজে ছোট হওয়ার ভয়তে।

এ নিয়ে প্রায়ই চলতো স্বামী- স্ত্রীর দন্দ। শত প্রতিকুলতার মাঝেও (লতা )তার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে আইন বিভাগের পড়াশোনা শেষ করেন। এদিকে প্রায়ই ঘড় ভাড়া ও পরিবারের খরচা-খরচ নিয়ে চলতো ঝামেলা।

কোন উপায় না পেয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারির স্বরণাপন্ন হন। এতে সুনিল কুমার বিশ্বাস আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানিতে তার আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়।

ঐ অসহায় নারী লতা, সন্তান নিয়ে গত ২২ এপ্রিল সোমবার দুপুরে হারতায় সুনিল কুমার বিশ্বাসের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে টেনে হিচরে বের করে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি (লতা ছদ্মনাম) আরো জানান এ ছাড়া ও তার আরো অনেক নোংরামি প্রয়োজনে ফাঁস করে দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ দিকে অভিযুক্ত সুনিল কুমার বিশ্বাস প্রথমে সাংবাদিকদের কাছে বিবাহের কথা অস্বীকার করলেও পরে বিবাহিত স্ত্রী হিসেবে তাকে তালাক দিয়েছেন বলে জানান। তবে সন্তান ডিএনএ টেস্টের প্রমাণ পেলে বউ ও সন্তানদের গ্রহন করবেন বলে জানান ঐ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুনিল বিশ্বাস। বিষয়টি নিয়ে চলছে পুরো উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড়।