ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বরিশাল রেঞ্জ কমান্ডার জিরো পয়েন্ট থেকে সোনাগাজী হাসপাতাল রিক্সা ভাড ৪০ টাকা রাজাপুরে জমি দখল করতে গিয়ে গাছ কেটে তিন লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ তানোরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হরিপুরে স্বপ্নসারথী গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান ২০২৫ সর্বস্তরের জনগণ প্রথম আলো ও ইনকিলাব পত্রিকায় সাতক্ষীরার উন্নয়নের বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড

ঈদে ভাড়া নৈরাজ্য-সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের দাবি যাত্রীকল্যাণ সমিতি

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ১৫২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ ইয়াছিন আরাফাত,নিজস্ব প্রতিনিধি:-
আসন্ন ঈদুল আজহায় যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ সোমবার (১০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘প্রতি বছর ঈদে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক বৃদ্ধিতে নাগরিক সমাজের উদ্বেগ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সভায় আসন্ন ঈদে দেশের সব পথে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর-অধিদপ্তরকে যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা শতভাগ বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দায়িত্বশীল করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। আলোচনা সভার ধারণাপত্রে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার প্রতি বছর ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মুনাফার অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে ঈদের প্রস্তুতি সভা করেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দায়িত্ব দিলেও তারা সবাই মিলেমিশে ভাড়া নৈরাজ্য চালান। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে, ফিটনেটবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে গঠিত মনিটরিং কমিটিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি শুধুমাত্র পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দায়িত্বে থাকেন। বাস্তবতা হলো ৯০ শতাংশের বেশি যাত্রীকে প্রতি ঈদে বাড়ি যেতে দিগুণ-তিনগুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়। এমনকি বিআরটিএ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ না করে বরং যাত্রীরা স্বল্প দুরত্বে গেলেও রুট পারমিটের শেষ গন্তব্য পযর্ন্ত ভাড়া দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। যারা সড়কে চাঁদাবাজিতে জড়িত তাদের ওপর ঈদযাত্রায় সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে চাঁদাবাজরাই চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত আটকে দেয়। লক্কর-ঝক্কর বাস চালাতে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেন, তাদের ওপর ঈদযাত্রায় লক্কর-ঝক্কর বাস চলাচল বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতি ঈদে ফিটনেসবিহীন বাসের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী বহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধের ঘোষণা বিভিন্ন পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে পরিবহন সংকট, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে নিম্ন আয়ের লোকজনের এসব পরিবহনে যাতায়াত ঠেকানো যায় না। বরং এসব পরিবহন যাদের বন্ধ করার কথা তারা জায়গায় জায়গায় এসব যানবাহন আটকে উৎকোচ নেয়। দেশের সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, ভটভটি, অটোরিকশা চলাচলে উপকারভোগী, তাদের ওপর এসব যানবাহন চলাচল বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এহেন বাস্তবতায় সড়কে নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা থেকে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকারভোগী তাদের ওপর সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এ কারণে প্রতিটি ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহনে বিশৃঙ্খলায় প্রাণহানি ও মানুষের যাতায়াতে হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য দফায় দফায় বেড়েই চলছে। সরকারের ধারাবাহিকতায় লক্ষ্য কোটি টাকা খরচ করে সড়কে অবকাঠামো উন্নত করলেও পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারের ইমেজ চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। সভায় বক্তব্য দেন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রীকল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম. মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মহসিন প্রমুখ ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঈদে ভাড়া নৈরাজ্য-সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের দাবি যাত্রীকল্যাণ সমিতি

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

মোঃ ইয়াছিন আরাফাত,নিজস্ব প্রতিনিধি:-
আসন্ন ঈদুল আজহায় যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ সোমবার (১০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘প্রতি বছর ঈদে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক বৃদ্ধিতে নাগরিক সমাজের উদ্বেগ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সভায় আসন্ন ঈদে দেশের সব পথে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর-অধিদপ্তরকে যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা শতভাগ বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দায়িত্বশীল করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। আলোচনা সভার ধারণাপত্রে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার প্রতি বছর ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মুনাফার অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে ঈদের প্রস্তুতি সভা করেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দায়িত্ব দিলেও তারা সবাই মিলেমিশে ভাড়া নৈরাজ্য চালান। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে, ফিটনেটবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে গঠিত মনিটরিং কমিটিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি শুধুমাত্র পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দায়িত্বে থাকেন। বাস্তবতা হলো ৯০ শতাংশের বেশি যাত্রীকে প্রতি ঈদে বাড়ি যেতে দিগুণ-তিনগুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়। এমনকি বিআরটিএ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ না করে বরং যাত্রীরা স্বল্প দুরত্বে গেলেও রুট পারমিটের শেষ গন্তব্য পযর্ন্ত ভাড়া দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। যারা সড়কে চাঁদাবাজিতে জড়িত তাদের ওপর ঈদযাত্রায় সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে চাঁদাবাজরাই চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত আটকে দেয়। লক্কর-ঝক্কর বাস চালাতে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেন, তাদের ওপর ঈদযাত্রায় লক্কর-ঝক্কর বাস চলাচল বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতি ঈদে ফিটনেসবিহীন বাসের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী বহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধের ঘোষণা বিভিন্ন পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে পরিবহন সংকট, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে নিম্ন আয়ের লোকজনের এসব পরিবহনে যাতায়াত ঠেকানো যায় না। বরং এসব পরিবহন যাদের বন্ধ করার কথা তারা জায়গায় জায়গায় এসব যানবাহন আটকে উৎকোচ নেয়। দেশের সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, ভটভটি, অটোরিকশা চলাচলে উপকারভোগী, তাদের ওপর এসব যানবাহন চলাচল বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এহেন বাস্তবতায় সড়কে নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা থেকে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকারভোগী তাদের ওপর সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এ কারণে প্রতিটি ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহনে বিশৃঙ্খলায় প্রাণহানি ও মানুষের যাতায়াতে হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য দফায় দফায় বেড়েই চলছে। সরকারের ধারাবাহিকতায় লক্ষ্য কোটি টাকা খরচ করে সড়কে অবকাঠামো উন্নত করলেও পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারের ইমেজ চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। সভায় বক্তব্য দেন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রীকল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম. মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মহসিন প্রমুখ ।