ইফতার তালিকায় বাদ পড়ছে ফল
- আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-ইফতারের বিশেষ খাদ্যপণ্যের মধ্যে দেশি-বিদেশি ফল অন্যতম। তাই রমজান মাসজুড়েই এসব ফলের চাহিদাও থাকে প্রচুর। তবে এবারের রমজানে সব ধরনের ফলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে আপেল, কমলা, আঙ্গুর, মাল্টা, লেবু ও খেজুরের। কম যাচ্ছে না দেশী ফলও। ফলের এমন চড়া দামে ক্রেতা সাধারণ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ইফতারের তালিকা থেকেও উঠে যাচ্ছে অনেক ফল। আজ চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার এলাকার ফলের বাজার ঘুরে দামের এমন অস্বাভাবিক চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, রমজান মাসে ইফতারের বিশেষ খাদ্য পণ্যের মধ্যে মাল্টা, আঙ্গুর ও খেজুর অন্যতম। তাই খেজুরের দাম পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কার্টুনে বেড়েছে ১ হাজার টাকা। যা খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা বাড়তি। এই পণ্যের দামের সাথে পাল্লা দিয়েছে মাল্টার দাম। যা এখন ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কার্টুন মাল্টা পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। যার দাম খুচরা পর্যায়ে ১৫০ টাকা বাড়তি দেখা গেছে। কেজিতে ৬০ টাকা বাড়তি সব ধরনের আঙ্গুরের দাম। ২৪০ টাকার আঙ্গুর এখন ৩০০ টাকা। ফলে সাধারণ ক্রেতারা ফল কিনতে এসে অনেকেই ফিরে গেছে।
এরই মধ্যে বাজারে উঠেছে তরমুজ। অপরিপক্ক তরমুজের দামেও গলা কাটছে ভোক্তা সাধারনের। গত বছরের তুলনায় এবার ছোট বড় সব সাইজের তরমুজ ১৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা অনেকটা ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আপেলের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে। সবরকম টক ও মিষ্টি লেবু কেজিতে ১০০ টাকা বাড়তি হয়ে ৩০০ টাকায় হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। এছাড়া এক পিচ আনারস ২০ টাকা বাড়তি হয়ে তা এখন ৮০ টাকা, প্রতিকেজি পেয়ারা ও সব ধরনের বড়ই কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি। প্রতি হালিতে কলার দাম এখন ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কথা হয় ফল ব্যবসায়ি তানভীরের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, রমজান মাসে ফলের চাহিদা অনেক। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ মিলছে ঠিকই কিন্তু দাম অনেক বেশি। এভাবে ফলের দাম বাড়তে থাকলে খুচরা ফল ব্যাবসায়িরাও বিপদে পড়বে।এদিকে ফল কিনতে আসা ক্রেতা বাপ্পি মন্ডল বলেন, ইফতারের জন্য এক কেজি আঙ্গুর, আপেল, কমলা ও মাল্টা কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম শুনে ধাক্কা খেতে হচ্ছে। এই দামের পিছনে মনে হচ্ছে সিন্ডিকেট আছে। যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসনের উচিত রোজার এক মাস ফলের বাজার তদারকি করা। তাহলে দাম কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করি।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম জানান, রমজানে বাজার স্বাভাবিক করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। আর কোন ব্যবসায়ি যদি কৃত্রিম সংকটকে পুঁজি করে ফলের দাম বাড়িয়ে থাকে তাহলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ নির্ধারিত দাম থেকে বেশি মূল্য আদায় করলে তাৎক্ষণিক প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুশিয়ারি দেন এই কর্মকর্তা।