ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন পালন গোমদন্ডী দরবারে জিকরে মোস্তফা সম্মেলন সোমবার জামালপুর মাদারগঞ্জে তারতাপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গৌ- মইদৌড় খেলা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা আশুলিয়ায় হিজড়া সম্প্রদায়ের মানববন্ধন, বাৎসরিক ওরশ শরীফে বাঁধা ও চাঁদার দাবি বিবেকানন্দ ষ্টাডি এন্ড ফিলানফ্রপিক সেন্টার অব নিউইয়র্ক উদ্যোগ কম্বল বিতরণ যশোরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উদযাপন নীলফামারীতে আন্তঃজেলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকীতে বাকৃবিতে নিম গাছ রোপণ সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস ঢাকা সাভারে পুলিশের অভিযানে সোয়া ২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

অবশেষে টাঙ্গাইলের সখীপুরে বহুল আলোচিত সেই প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায়,বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা কারাগারে।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল সখীপুর (আমলী) আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট নওরিন করিম,আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা ও তার সহযোগী আসামি রুবেল মিয়াকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডঃ এস,এম ফায়জুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের,তিনি জানান আজ দুপুরের দিকে আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা ও রুবেল মিয়া আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে আটকে রাখার আদেশ দেন।
এটা নারী নির্যাতন ধারায় আসছে কি-না,এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী জানান,এটা একটি সাধারণ মারপিট ও ছিনতাই ধারায় মামলা হিসেবে থানা পুলিশ রেকর্ড ভূক্ত করেন।এ ক্ষেত্রে বাদীপক্ষ ইচ্ছে করলে বিজ্ঞ নারী নির্যাতন বিশেষ আদালতে মামলাটি পূনরায় রুজু করতে পারবেন।যেহেতু ঘটনাটি বহুল আলোচিত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি নির্যাতনের সরাসরি প্রমাণ ভিডিও ফুটেজ আছে,সেহেতু এ ধারায় মামলটি করতেই পারবেন বাদীপক্ষ।
উল্লেখ্য যে, বিগত ২ মার্চ একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সখীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড জেলখানা মোড় এলাকায়, বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার নিজ বাসভবনে তার নিজ হাতে পাশ্ববর্তী এক ভাড়াটিয়া দুবাই প্রবাসী লাভলু মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।নির্যাতনের সময় কে বা কারা উক্ত নির্যাতনের ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন।সেই নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই নারী সেইদিনই সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন,একই রাতে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পরদিন প্রবাসী লাভলু মিয়ার গ্রামের বাড়ি বহুরিয়া ইউনিয়ন ভুক্ত কালিদাস বাজারে স্থানীয়রা সরকার নূরে আলম মুক্তার শাস্তির দাবীতে প্রধান সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা একজন প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায়,ভুক্তভোগী নির্যাতনের শিকার নারীর লিখিত অভিযোগটি সখীপুর থানা পুলিশ আমলে নিতে বেশ কয়েকদিন গড়িমসি করেন।এদিকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সাহেব হাসপাতালে সেই নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান,স্থানীয় ইউএনও সাহেবকে চেয়ারম্যানর এমন ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করাসহ ৭ দিনের আলটিমেটাম দেন।পরে দীর্ঘ প্রায় ১০ দিন পর নির্যাতনের শিকার অভিযোগকারী জেসমিন আক্তার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ছাড়া পেলে,ওইদিনই সখীপুর থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেন বলে জানান মামলার বাদী জেসমিন আক্তার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা কারাগারে

আপডেট সময় : ১০:০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

অবশেষে টাঙ্গাইলের সখীপুরে বহুল আলোচিত সেই প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায়,বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা কারাগারে।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল সখীপুর (আমলী) আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট নওরিন করিম,আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা ও তার সহযোগী আসামি রুবেল মিয়াকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডঃ এস,এম ফায়জুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের,তিনি জানান আজ দুপুরের দিকে আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা ও রুবেল মিয়া আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে আটকে রাখার আদেশ দেন।
এটা নারী নির্যাতন ধারায় আসছে কি-না,এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী জানান,এটা একটি সাধারণ মারপিট ও ছিনতাই ধারায় মামলা হিসেবে থানা পুলিশ রেকর্ড ভূক্ত করেন।এ ক্ষেত্রে বাদীপক্ষ ইচ্ছে করলে বিজ্ঞ নারী নির্যাতন বিশেষ আদালতে মামলাটি পূনরায় রুজু করতে পারবেন।যেহেতু ঘটনাটি বহুল আলোচিত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি নির্যাতনের সরাসরি প্রমাণ ভিডিও ফুটেজ আছে,সেহেতু এ ধারায় মামলটি করতেই পারবেন বাদীপক্ষ।
উল্লেখ্য যে, বিগত ২ মার্চ একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সখীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড জেলখানা মোড় এলাকায়, বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার নিজ বাসভবনে তার নিজ হাতে পাশ্ববর্তী এক ভাড়াটিয়া দুবাই প্রবাসী লাভলু মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।নির্যাতনের সময় কে বা কারা উক্ত নির্যাতনের ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন।সেই নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই নারী সেইদিনই সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন,একই রাতে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পরদিন প্রবাসী লাভলু মিয়ার গ্রামের বাড়ি বহুরিয়া ইউনিয়ন ভুক্ত কালিদাস বাজারে স্থানীয়রা সরকার নূরে আলম মুক্তার শাস্তির দাবীতে প্রধান সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা একজন প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায়,ভুক্তভোগী নির্যাতনের শিকার নারীর লিখিত অভিযোগটি সখীপুর থানা পুলিশ আমলে নিতে বেশ কয়েকদিন গড়িমসি করেন।এদিকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সাহেব হাসপাতালে সেই নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান,স্থানীয় ইউএনও সাহেবকে চেয়ারম্যানর এমন ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করাসহ ৭ দিনের আলটিমেটাম দেন।পরে দীর্ঘ প্রায় ১০ দিন পর নির্যাতনের শিকার অভিযোগকারী জেসমিন আক্তার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ছাড়া পেলে,ওইদিনই সখীপুর থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেন বলে জানান মামলার বাদী জেসমিন আক্তার।