ঢাকা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবিসাসের সাবেক সভাপতি রবিউল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

মানতা সম্প্রদায় ও নদী ভাঙ্গন কবলিত শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ১৮তম ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রবিউল আলম। রবিউল প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম আলোর আহমেদুল হাসান আশিকের সঙ্গে যৌথভাবে বিজয়ী হন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ইউনিসেফ এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. জাফর ইকবাল, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বিটিভির ডিজি জাহাঙ্গীর আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার ও বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

প্রিন্ট সাংবাদিকতায় এ বছরের ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জয়ীরা হলেন, ঢাকা পোস্টের রাকিবুল হাসান তামিম, মুসা মল্লিক, নজরুল ইসলাম ও জসীম উদ্দিন। প্রতিদিনের বাংলাদেশের সাধন সরকার, বাংলা ট্রিবিউনের উদিসা ইসলাম ও সিভয়েস ২৪ এর শারমীন রিমা। ফটো সাংবাদিকতায় প্রথম আলোর সাজিদ হোসেন।

বিজয়ী ও মনোনীত প্রতিবেদনগুলোতে উঠে এসেছে সেসব শিশুর কথা, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করা হয়। সেসব মেয়ের কথা, যাদের বিশুদ্ধ পানির অভাবে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার জন্য সংগ্রাম করতে হয়। উঠে এসেছে সেসব ছেলের কথা, যাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল রাস্তা এবং যাদের জীবন জলবায়ু অভিঘাত ও নিপীড়নের কারণে ব্যাহত হয়েছে। রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে নানা সমস্যা।

ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনার নামে। মীনা চরিত্রটি ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ও এর বাইরে শিশুদের অধিকারের জন্য কথা বলে আসছে। সঙ্গে বড়দের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে এ পুরস্কার প্রদান।

এবারের ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডগুলোর বিচারকমণ্ডলী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষক আবির আবদুল্লাহ, ফটোগ্রাফার জান্নাতুল মাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন, রয়টার্সের বাংলাদেশের চিফ করেসপন্ডেন্ট রুমা পাল, রয়টার্সের সাবেক মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট রফিকুর রহমান, এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম ও রয়টার্সের বাংলাদেশের সাবেক ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির।

রবিউল আলম বলেন, এই অর্জন অবশ্যই গর্বের। তবে শিশুদের শিক্ষার অধিকার তার মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতে আমার লিখনি যদি কিছুটা হলেও তাদের অধিকার আদায়কে তরান্বিত করে তাহলে নিজেকে কিছুটা হলে সার্থক মনে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবিসাসের সাবেক সভাপতি রবিউল

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

মানতা সম্প্রদায় ও নদী ভাঙ্গন কবলিত শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ১৮তম ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রবিউল আলম। রবিউল প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম আলোর আহমেদুল হাসান আশিকের সঙ্গে যৌথভাবে বিজয়ী হন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ইউনিসেফ এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. জাফর ইকবাল, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বিটিভির ডিজি জাহাঙ্গীর আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার ও বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

প্রিন্ট সাংবাদিকতায় এ বছরের ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জয়ীরা হলেন, ঢাকা পোস্টের রাকিবুল হাসান তামিম, মুসা মল্লিক, নজরুল ইসলাম ও জসীম উদ্দিন। প্রতিদিনের বাংলাদেশের সাধন সরকার, বাংলা ট্রিবিউনের উদিসা ইসলাম ও সিভয়েস ২৪ এর শারমীন রিমা। ফটো সাংবাদিকতায় প্রথম আলোর সাজিদ হোসেন।

বিজয়ী ও মনোনীত প্রতিবেদনগুলোতে উঠে এসেছে সেসব শিশুর কথা, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করা হয়। সেসব মেয়ের কথা, যাদের বিশুদ্ধ পানির অভাবে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার জন্য সংগ্রাম করতে হয়। উঠে এসেছে সেসব ছেলের কথা, যাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল রাস্তা এবং যাদের জীবন জলবায়ু অভিঘাত ও নিপীড়নের কারণে ব্যাহত হয়েছে। রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে নানা সমস্যা।

ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনার নামে। মীনা চরিত্রটি ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ও এর বাইরে শিশুদের অধিকারের জন্য কথা বলে আসছে। সঙ্গে বড়দের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে এ পুরস্কার প্রদান।

এবারের ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডগুলোর বিচারকমণ্ডলী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষক আবির আবদুল্লাহ, ফটোগ্রাফার জান্নাতুল মাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন, রয়টার্সের বাংলাদেশের চিফ করেসপন্ডেন্ট রুমা পাল, রয়টার্সের সাবেক মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট রফিকুর রহমান, এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম ও রয়টার্সের বাংলাদেশের সাবেক ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির।

রবিউল আলম বলেন, এই অর্জন অবশ্যই গর্বের। তবে শিশুদের শিক্ষার অধিকার তার মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতে আমার লিখনি যদি কিছুটা হলেও তাদের অধিকার আদায়কে তরান্বিত করে তাহলে নিজেকে কিছুটা হলে সার্থক মনে হবে।