আপনারা নগ্নতা ত্যাগ করে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েটিকে দেখুন সে কি করে।
- আপডেট সময় : ০৮:১২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে
আপনারা ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি একজন নারী পড়াশোনা করেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় সিক্স সেমিস্টারে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার পাশাপাশি অল্প দামে খাবার বিক্রি করতে উদ্যোগ নিয়ে থাকেন তিনি। রাস্তার পাশে ফুটপাতাই খাবারের দোকান দিয়েছেন। প্রতিদিন তিনি সেখানে কম দামে খাবার বিতরণ করে থাকেন। তার এই কাজটা আমার কাছে বাংলাদেশের যে সমস্ত নারীরা টাকা ইনকামের জন্য বর্তমান ফেসবুক, youtube,ফেসবুক পেজ ইত্যাদিতে টাকা ইনকামের জন্য কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন তাদের তাদের জন্য এই নারীর পেশাটা শিক্ষানীয় ও দৃষ্টান্তমূলক।
বর্তমানে ৯০% নারীরা ইনকামের উদ্দেশ্য ফেসবুকে ইউটিউবে বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে যে সমস্ত ভিডিও আপলোড করে থাকেন আমরা সেগুলো দেখে থাকি প্রতিনিয়ত। ভিডিও গুলোর মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে। বিনোদন ও কনটেন্ট তৈরি নামে যেন চলছে এক অশালীনতার প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় নারীরা নিজেকে সবার উপরে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ, লাইক পেতে নিজেকে উন্মুক্ত করে মেলে ধরছে বিশ্ব বাজারে। ফেসবুক বা ইউটিউবে একটা ভিডিও ছাড়া মানেই এটা বিশ্ববাজারে ভিডিও ছাড়া। আমাদের দেশ বাংলাদেশ আর এ বাংলাদেশ একটি মুসলিম কান্ট্রি কিন্তু বর্তমানে ফেসবুকে বা ইউটিউবে ঢুকে আমাদের দেশের নারীদের ভিডিও কন্টেন্ট গুলো দেখলে মনে হয় আমরা কোন পশ্চিমা দেশে বসবাস করছি।
৯০% নারীদের ভিডিওগুলো যেন মনে হয় পতিতালয়ের কোন এক নারীকে দেখছি।পতিতালায় নারীরা নিজেকে ঠিক যেমন রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে ইজ্জত মেলে ধরে ঠিক তেমনি টাকা ইনকামের নেশায় বা ভাইরাল হবার নেশায় নিজেকে উন্মুক্ত করছে সবার সামনে।
বর্তমান ফেসবুক, ইউটিউবে নারীদের এমন কার্যকলাপের কারণে বাবা মেয়ে একই মোবাইলে ভিডিও দেখতে লজ্জা পাবে। সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি। বৃদ্ধি পাচ্ছে নগ্নতা। ৯০% নারীরাই ভাইরাল হবার নেশায় পাবলিক প্লাটফর্মে এসে নিজেকে নগ্ন হতে দ্বিধাবোধ করছেন না। পাবলিক প্লাটফর্মে এসে বর্তমান ফেসবুকের বা ইউটিউবের ভাইরাল নারীরা যে চলাফেরা শুরু করেছে তাতে মনে পড়ে যায় বইতে পড়া আই এ্যাম এ জাহেলিয়া যুগের কথা।
আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বলতে পারি ঠিক কয়েক বছরের ভেতর এদেশের সংস্কৃতি সমাজ ব্যবস্থা পশ্চিমা বিশ্বের মত নগ্ন রূপ নেবে। যেটা বর্তমানে বাকি নেই সোশ্যাল মিডিয়াতে।
বর্তমান প্রজন্মের নারীরা লিপ্ত হয়েছে নগ্নতার প্রতিযোগিতায় ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার নেশায়। এই নেশাটা শুধু অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়। এমন এমন কিছু ভিডিও আছে যেগুলো তো আমরা দেখি ছোট বয়সের বাচ্চাদের সাথে তাদের মায়েরা যে সমস্ত কন্টেন্ট তৈরি করে মনে হয় গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড। শুধু তাই নয় তাতে নগ্নতা প্রকাশ পায়।
আমি জানি এমন কথাগুলো বলাতে আমার এই পত্রিকার সমালোচনা হতে পারে তাতে আমার কোন কিছু যায় আসে না কারণ আমি মনে করি আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক কারণ সেই শিক্ষা আমার পরিবারের ভেতরে আছে যে শিক্ষা সমাজকে নষ্ট করে না। আমার পরিবারেও মা বোন আছে আমি দেখিনি কখনো এমন পরিবেশে আসতে। তাই ভাবতাম আমাদের পরিবারের বা আমাদের সমাজের ছেলেমেয়েরা শালীনতার ভিতর দিয়ে বড় হবে। কিন্তু এখন বড় ভয় লাগে কারণ মানুষ তো দেখেই শেখে যখন দেখবে বাংলাদেশের ৯০% নারী নগ্ন হয়ে এবং নগ্ন চলাফেরা করে তারাও বুঝবে এটা মনে হয় আমাদের সংস্কৃতি।
যারা এই কলামটি পড়বেন তাদের সবার কাছে অনুরোধ রইলো আপনার নিজের পরিবারটাকে এই সমস্ত নগ্ন মানুষদের থেকে দূরে রাখবেন তাতে যদি একটি পরিবার বর্তমান নষ্টামি থেকে বেঁচে যাই।
টাকার যদি দরকার হয়ে থাকে তাহলে উপরে ঐ ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েটিকে দেখে শিখুন নগ্ন হয়ে নয় বরং সম্মান এর সাথে বেচে থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। সকল মা বোনের প্রতি আকুল আবেদন রইল আপনারা ফিরে আসুন ঘরে থাকুন নিজের ইজ্জতকে লোক সমাজে বিলিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কিসের দরকার এত ভাইরাল হবার কতদিনই বা বাঁচবেন আপনি হয়তো পঞ্চাশ নয়তো ষাট নয়তো সত্তর বছর।
উপরোক্ত সমস্ত কথাগুলো আমার মুসলিম ভাই বোনেদের প্রতি উদ্দেশ্য করে বলেছি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন পারলে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে ইসলামিক নিয়ম কানুনের ভেতরে রাখার চেষ্টা করবেন।
মোঃ রায়হান সুলতান।
প্রকাশক ও সম্পাদক -দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা।