ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, দশজন আহত ঢাকা সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ে নতুন অধ্যক্ষের যোগদান সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে — মির্জা আলমগীর ডাক্তার শহিদুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জি এম আব্বাস উদ্দিন ঢাকা সাভারে জামিনে বের হয়ে বাদীর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ২৫ দেশে প্রথমবারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা পুলিশ যশোরের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ব্যাতিক্রমধর্মী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

আজমির উসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডাররা প্রকাশ্যে

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের হিংসতার কথা সকলেরই কমবেশি জানা। প্রায় ১৭ বছর নারায়ণগঞ্জটিকে দখল করে রেখেছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা তো দূরের কথা, চিন্তা করলেও হতে হতো হামলা এবং মামলার শিকার। প্রতিটি পারা মহল্লাকে এক একটা ক্যাডার গ্যাং তৈরি করে রেখেছিলো আজমেরী উসমান ওরফে ভাইজান।উল্লেখ্য শহরের কিছু এলাকার মধ্যে রয়েছে ইসদাইর এলাকার নাসির, সস্থাপুর কোতালের বাগের সামাদ, ইসদাইর রেল লাইনে শাহাতাৎ হোসেন রুপু সহ আরো অনেক পাতি নেতারা। এখানে আসমেরি উসমানে অন্যতম সহযোগী হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখতো কুতালে বাগের আব্দুল সামাদ। সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে হুন্ডা দিয়ে মহড়া দেওয়া ছিলো যার প্রধান কাজ। সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে খুশি রাখত আজমিরি পরিবার এবং নাসির কে। যানা যায়,সামাদের যন্ত্রণায় সর্বদা আতংকে থাকতো এলাকাবাসী। গোপন সুত্রে জানা যায়, জায়গা কিনলে সামাদকে দিতে হতো চাঁদা, বাড়ি নির্মাণ করলেও তাদের করা নির্ধারিত দামেই নিতে হত সকল সামগ্রীক। এছাড়া জমি দখল,ব্যবসায়ীদের ধরে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ই ছিলো সামাদের প্রধান কাজ।এলাকায় শিশোর গ্যাং তৈরি করা, তাদের দিয়ে মারামারি করিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে রাখা থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসায়িদের থেকে চাঁদা তুলা এবং সেই চাঁদা ভাগ নিয়ে হত্যা সহ সকল কাজেই নাসির অধরা থাকলেও সামাদ ছিলো দৃশ্যমান। এবং তার কথা না শুনলে,সাধারণ মানুষকে হতে হতো হামলা বা মামলার শিকার। ছিটকে এই সামাদের সহযোগী হিসেবে থাকতো নাসির। আর সবার উপরে আজমেরি ওসমান। নাসির, সামাদকে অল্প সময়ের মধ্যেই একটি ভয়ানক ক্যাডার হিসেবে গড়ে তুলতে সংক্ষম হয়। এবং সামাদের সকল অপকর্মকে বাহবা দিয়ে এগিয়ে যেতে সকল ধরনের সহযোগিতা করে বলেও জানা গেছে। ১৯ শে জুলাই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া সহ শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা করারো অভিযোগ রয়েছে এই সামাদের নামে।তবে আজমেরি ওসমানের সকল ক্যাডারা পালিয়ে গেলেও, পালাতে সক্ষম হয়নি সামাদ। কিছুদিন নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে থাকলেও, বর্তমানে তিনি রয়েছে এলাকায় প্রকাশ্যে। এবং বর্তমান শহরের সকল খবরা খবর তার সহযোগীদের কানে পৌঁছে দিচ্ছে, এবং খুবই শিগ্রিরি এলাকায় একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছে এলাকা বাসি।এসব আওয়ামী লীগের দুসর এবং ক্যাডার বাহিনী এখনো কিভাবে এলাকায় ঘুরে প্রশ্ন জনমনে।দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামানা করছে এলকার মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

আজমির উসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডাররা প্রকাশ্যে

আপডেট সময় : ০৭:১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের হিংসতার কথা সকলেরই কমবেশি জানা। প্রায় ১৭ বছর নারায়ণগঞ্জটিকে দখল করে রেখেছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা তো দূরের কথা, চিন্তা করলেও হতে হতো হামলা এবং মামলার শিকার। প্রতিটি পারা মহল্লাকে এক একটা ক্যাডার গ্যাং তৈরি করে রেখেছিলো আজমেরী উসমান ওরফে ভাইজান।উল্লেখ্য শহরের কিছু এলাকার মধ্যে রয়েছে ইসদাইর এলাকার নাসির, সস্থাপুর কোতালের বাগের সামাদ, ইসদাইর রেল লাইনে শাহাতাৎ হোসেন রুপু সহ আরো অনেক পাতি নেতারা। এখানে আসমেরি উসমানে অন্যতম সহযোগী হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখতো কুতালে বাগের আব্দুল সামাদ। সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে হুন্ডা দিয়ে মহড়া দেওয়া ছিলো যার প্রধান কাজ। সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে খুশি রাখত আজমিরি পরিবার এবং নাসির কে। যানা যায়,সামাদের যন্ত্রণায় সর্বদা আতংকে থাকতো এলাকাবাসী। গোপন সুত্রে জানা যায়, জায়গা কিনলে সামাদকে দিতে হতো চাঁদা, বাড়ি নির্মাণ করলেও তাদের করা নির্ধারিত দামেই নিতে হত সকল সামগ্রীক। এছাড়া জমি দখল,ব্যবসায়ীদের ধরে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ই ছিলো সামাদের প্রধান কাজ।এলাকায় শিশোর গ্যাং তৈরি করা, তাদের দিয়ে মারামারি করিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে রাখা থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসায়িদের থেকে চাঁদা তুলা এবং সেই চাঁদা ভাগ নিয়ে হত্যা সহ সকল কাজেই নাসির অধরা থাকলেও সামাদ ছিলো দৃশ্যমান। এবং তার কথা না শুনলে,সাধারণ মানুষকে হতে হতো হামলা বা মামলার শিকার। ছিটকে এই সামাদের সহযোগী হিসেবে থাকতো নাসির। আর সবার উপরে আজমেরি ওসমান। নাসির, সামাদকে অল্প সময়ের মধ্যেই একটি ভয়ানক ক্যাডার হিসেবে গড়ে তুলতে সংক্ষম হয়। এবং সামাদের সকল অপকর্মকে বাহবা দিয়ে এগিয়ে যেতে সকল ধরনের সহযোগিতা করে বলেও জানা গেছে। ১৯ শে জুলাই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া সহ শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা করারো অভিযোগ রয়েছে এই সামাদের নামে।তবে আজমেরি ওসমানের সকল ক্যাডারা পালিয়ে গেলেও, পালাতে সক্ষম হয়নি সামাদ। কিছুদিন নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে থাকলেও, বর্তমানে তিনি রয়েছে এলাকায় প্রকাশ্যে। এবং বর্তমান শহরের সকল খবরা খবর তার সহযোগীদের কানে পৌঁছে দিচ্ছে, এবং খুবই শিগ্রিরি এলাকায় একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছে এলাকা বাসি।এসব আওয়ামী লীগের দুসর এবং ক্যাডার বাহিনী এখনো কিভাবে এলাকায় ঘুরে প্রশ্ন জনমনে।দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামানা করছে এলকার মানুষ।