ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অন্ধকারে আলোর পথ দেখালেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নেই সোলার লাইট স্থাপন এস আলমের ২০০ একর জমি ক্রোকের আদেশ দিনাজপুরে সংগঠিত হয়ে গেল রংপুর বিভাগীয় কমিটির কর্মীসভা মনিরামপুরে বিএনপির ঐতিহাসিক ঐক্য: একক প্রার্থীর পক্ষে একতাবদ্ধ নেতা-কর্মীরা নেকমরদ সরকারি কলেজের প্রাচীর ঘেঁষে ঘর নির্মাণ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি’র অভিযানে মাদক ও অস্ত্র সহ ৪ জন গ্ৰেফতার শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ০২ জন জলদস্যু গ্রেফতার চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত বাড়ছে ধীরে ধীরে রংপুর জেলার গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় খেজুর বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিষপানে গৃহবধূর মৃত্যু

আগৈলঝাড়ায় স্বামীর খোঁজে সন্তানসহ পাবনা গৃহবধূ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সোহেল রানা আগৈলঝাড়ায় প্রতিনিধি:-

বিয়ের ১৫ বছর পরে স্বামীর খোঁজে দুই সন্তানসহ পাবনার গৃহবধূ এখন বরিশালের আগৈলঝাড়ায়।রোববার দুপুরে সরেজমিন উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ আস্কর গ্রামের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর গ্রামের মৃত সুলতান প্রমানিকের মেয়ে দুই সন্তানের জননী সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির স্ত্রী সাথী বেগম স্বামীর খোজে তার বাড়িতে এসেছেন।স্ত্রী সাথী বেগম জানান, ২০০৮ সালে ঢাকায় গাজীপুরে গার্মেন্টেসে চাকুরীরত অবস্থায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।কিন্তু সাথী সুমনকে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করার শর্তে বিয়েতে রাজি হয়। পরে সুমন মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে সুমন হোসেন নাম নিয়ে ২০০৯ সালের ১১ জুলাই সাথীকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে মেয়ে সুমনা আক্তার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ছেলে সামিউল ইসলাম (৫) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহিত জীবনে সুমন রোজা নামাজসহ ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতো।গত বৃহস্পতিবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাথীর ভাড়া বাসা থেকে সুমন তার বাবা অসুস্থ ও বোনের সিজারিয়ান অপারেশনের কথা বলে আগৈলঝাড়া গ্রামের বাড়ির উদ্দ্যেশে বের হয়। পরে সুমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় সাথী বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। গত তিনদিনেও স্বামী সুমনের খোজ না পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ আস্কর গ্রামে সাথী তার দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর খোজে আসেন। এসময় খবর পেয়ে এলাকার লোকজন একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।সুমনের বড় ভাই বাসুদেব বিশ্বাস বলেন, সুমন তিন মাস পূর্বে আমাদের বাড়িতে এসেছিলো। এরপরে আর সে আসেনি। সুমনের পিতা বিশ্বনাথ বিশ্বাস পুত্রবধূ সাথীকে বলেন, তুমি যদি মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করতে পারো তাহলে তোমাকে আমরা পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবো। কিন্তু সাথী তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। সাথী তার স্বামী সুমন নিখোজের ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়রী করবেন বলে জানান।এব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য কুমোদ রঞ্জন জানান, ঘটনাটি সর্ম্পকাতর হওয়ায় সুমনকে খুজে বের করে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আগৈলঝাড়ায় স্বামীর খোঁজে সন্তানসহ পাবনা গৃহবধূ

আপডেট সময় : ০৯:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

মোঃ সোহেল রানা আগৈলঝাড়ায় প্রতিনিধি:-

বিয়ের ১৫ বছর পরে স্বামীর খোঁজে দুই সন্তানসহ পাবনার গৃহবধূ এখন বরিশালের আগৈলঝাড়ায়।রোববার দুপুরে সরেজমিন উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ আস্কর গ্রামের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর গ্রামের মৃত সুলতান প্রমানিকের মেয়ে দুই সন্তানের জননী সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির স্ত্রী সাথী বেগম স্বামীর খোজে তার বাড়িতে এসেছেন।স্ত্রী সাথী বেগম জানান, ২০০৮ সালে ঢাকায় গাজীপুরে গার্মেন্টেসে চাকুরীরত অবস্থায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।কিন্তু সাথী সুমনকে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করার শর্তে বিয়েতে রাজি হয়। পরে সুমন মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে সুমন হোসেন নাম নিয়ে ২০০৯ সালের ১১ জুলাই সাথীকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে মেয়ে সুমনা আক্তার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ছেলে সামিউল ইসলাম (৫) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহিত জীবনে সুমন রোজা নামাজসহ ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতো।গত বৃহস্পতিবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাথীর ভাড়া বাসা থেকে সুমন তার বাবা অসুস্থ ও বোনের সিজারিয়ান অপারেশনের কথা বলে আগৈলঝাড়া গ্রামের বাড়ির উদ্দ্যেশে বের হয়। পরে সুমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় সাথী বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। গত তিনদিনেও স্বামী সুমনের খোজ না পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ আস্কর গ্রামে সাথী তার দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর খোজে আসেন। এসময় খবর পেয়ে এলাকার লোকজন একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।সুমনের বড় ভাই বাসুদেব বিশ্বাস বলেন, সুমন তিন মাস পূর্বে আমাদের বাড়িতে এসেছিলো। এরপরে আর সে আসেনি। সুমনের পিতা বিশ্বনাথ বিশ্বাস পুত্রবধূ সাথীকে বলেন, তুমি যদি মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করতে পারো তাহলে তোমাকে আমরা পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবো। কিন্তু সাথী তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। সাথী তার স্বামী সুমন নিখোজের ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়রী করবেন বলে জানান।এব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য কুমোদ রঞ্জন জানান, ঘটনাটি সর্ম্পকাতর হওয়ায় সুমনকে খুজে বের করে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।