ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন পালন গোমদন্ডী দরবারে জিকরে মোস্তফা সম্মেলন সোমবার জামালপুর মাদারগঞ্জে তারতাপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গৌ- মইদৌড় খেলা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা আশুলিয়ায় হিজড়া সম্প্রদায়ের মানববন্ধন, বাৎসরিক ওরশ শরীফে বাঁধা ও চাঁদার দাবি বিবেকানন্দ ষ্টাডি এন্ড ফিলানফ্রপিক সেন্টার অব নিউইয়র্ক উদ্যোগ কম্বল বিতরণ যশোরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উদযাপন নীলফামারীতে আন্তঃজেলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকীতে বাকৃবিতে নিম গাছ রোপণ সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস ঢাকা সাভারে পুলিশের অভিযানে সোয়া ২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

আগৈলঝাড়ায় স্বামীর খোঁজে সন্তানসহ পাবনা গৃহবধূ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সোহেল রানা আগৈলঝাড়ায় প্রতিনিধি:-

বিয়ের ১৫ বছর পরে স্বামীর খোঁজে দুই সন্তানসহ পাবনার গৃহবধূ এখন বরিশালের আগৈলঝাড়ায়।রোববার দুপুরে সরেজমিন উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ আস্কর গ্রামের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর গ্রামের মৃত সুলতান প্রমানিকের মেয়ে দুই সন্তানের জননী সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির স্ত্রী সাথী বেগম স্বামীর খোজে তার বাড়িতে এসেছেন।স্ত্রী সাথী বেগম জানান, ২০০৮ সালে ঢাকায় গাজীপুরে গার্মেন্টেসে চাকুরীরত অবস্থায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।কিন্তু সাথী সুমনকে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করার শর্তে বিয়েতে রাজি হয়। পরে সুমন মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে সুমন হোসেন নাম নিয়ে ২০০৯ সালের ১১ জুলাই সাথীকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে মেয়ে সুমনা আক্তার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ছেলে সামিউল ইসলাম (৫) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহিত জীবনে সুমন রোজা নামাজসহ ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতো।গত বৃহস্পতিবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাথীর ভাড়া বাসা থেকে সুমন তার বাবা অসুস্থ ও বোনের সিজারিয়ান অপারেশনের কথা বলে আগৈলঝাড়া গ্রামের বাড়ির উদ্দ্যেশে বের হয়। পরে সুমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় সাথী বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। গত তিনদিনেও স্বামী সুমনের খোজ না পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ আস্কর গ্রামে সাথী তার দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর খোজে আসেন। এসময় খবর পেয়ে এলাকার লোকজন একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।সুমনের বড় ভাই বাসুদেব বিশ্বাস বলেন, সুমন তিন মাস পূর্বে আমাদের বাড়িতে এসেছিলো। এরপরে আর সে আসেনি। সুমনের পিতা বিশ্বনাথ বিশ্বাস পুত্রবধূ সাথীকে বলেন, তুমি যদি মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করতে পারো তাহলে তোমাকে আমরা পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবো। কিন্তু সাথী তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। সাথী তার স্বামী সুমন নিখোজের ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়রী করবেন বলে জানান।এব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য কুমোদ রঞ্জন জানান, ঘটনাটি সর্ম্পকাতর হওয়ায় সুমনকে খুজে বের করে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

আগৈলঝাড়ায় স্বামীর খোঁজে সন্তানসহ পাবনা গৃহবধূ

আপডেট সময় : ০৯:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

মোঃ সোহেল রানা আগৈলঝাড়ায় প্রতিনিধি:-

বিয়ের ১৫ বছর পরে স্বামীর খোঁজে দুই সন্তানসহ পাবনার গৃহবধূ এখন বরিশালের আগৈলঝাড়ায়।রোববার দুপুরে সরেজমিন উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ আস্কর গ্রামের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর গ্রামের মৃত সুলতান প্রমানিকের মেয়ে দুই সন্তানের জননী সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির স্ত্রী সাথী বেগম স্বামীর খোজে তার বাড়িতে এসেছেন।স্ত্রী সাথী বেগম জানান, ২০০৮ সালে ঢাকায় গাজীপুরে গার্মেন্টেসে চাকুরীরত অবস্থায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহির সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে সুমন বিশ্বাস ওরফে রুহি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।কিন্তু সাথী সুমনকে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করার শর্তে বিয়েতে রাজি হয়। পরে সুমন মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে সুমন হোসেন নাম নিয়ে ২০০৯ সালের ১১ জুলাই সাথীকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে মেয়ে সুমনা আক্তার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ছেলে সামিউল ইসলাম (৫) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহিত জীবনে সুমন রোজা নামাজসহ ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতো।গত বৃহস্পতিবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাথীর ভাড়া বাসা থেকে সুমন তার বাবা অসুস্থ ও বোনের সিজারিয়ান অপারেশনের কথা বলে আগৈলঝাড়া গ্রামের বাড়ির উদ্দ্যেশে বের হয়। পরে সুমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় সাথী বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। গত তিনদিনেও স্বামী সুমনের খোজ না পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ আস্কর গ্রামে সাথী তার দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর খোজে আসেন। এসময় খবর পেয়ে এলাকার লোকজন একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।সুমনের বড় ভাই বাসুদেব বিশ্বাস বলেন, সুমন তিন মাস পূর্বে আমাদের বাড়িতে এসেছিলো। এরপরে আর সে আসেনি। সুমনের পিতা বিশ্বনাথ বিশ্বাস পুত্রবধূ সাথীকে বলেন, তুমি যদি মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করতে পারো তাহলে তোমাকে আমরা পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবো। কিন্তু সাথী তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। সাথী তার স্বামী সুমন নিখোজের ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়রী করবেন বলে জানান।এব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য কুমোদ রঞ্জন জানান, ঘটনাটি সর্ম্পকাতর হওয়ায় সুমনকে খুজে বের করে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।