আগৈলঝাড়ায় সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

- আপডেট সময় : ০৮:৪২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সোহেল রানা,বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, একমিনিট নিরবতা পালন, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা কৈলাস চন্দ্র সেন এর প্রতিকৃতিতে ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কৈলাশ চন্দ্র সেনের সমাধিতে পুস্পাঅর্পণ শেষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।পরে স্কুল মাঠে সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবাষিকীর্র আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা বশির আহম্মেদ পান্না, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লাল্টু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম—আহ্বায়ক শাহ মো. বখতিয়ার, ফিরোজ মোল্লা, এনায়েত খান মনু, যুবদল নেতা হেমায়েত তালুকদার, হাবিব মুন্সি, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাতুল ইসলাম সাহেদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার হোসেন, মাহমুদ আলম মিঠু, শিক্ষিকা লিওনি শিখা শিকদার, শাহানাজ পারভীন, উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দাশ গুপ্তসহ প্রমুখ।উল্লেখ্য, ১৮৯৩ ইং সালের ২৩ জানুয়ারি কৈলাস চন্দ্র সেন ব্রিটিশ সরকারের ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি ছেড়ে এলাকার শিক্ষা প্রসারের জন্য গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শিক্ষকতায় আমৃত্যু নিবেদিত ছিলেন। উপজেলার গৈলা গ্রামে ১৮৯৩ সালের ২৩ জানুয়ারি গৈলা উচ্চ ইংরেজি স্কুলটি ১২২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু তার অনেক পূর্ব থেকেই গৈলা আলোকিত গ্রাম। আরও অনন্ত অর্ধশত বছর আগে এ গ্রামের কবীন্দ্র বাড়িতে (ন হন্যতে ও মংপুতে রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য বিখ্যাত গ্রন্থের লেখক মৈত্রী দেবীর বাড়ি) চালু হয়েছিল সংস্কৃত শিক্ষার কলেজ।যেখানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ফরিদপুর প্রভৃতি জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য আসতেন। পাশাপাশি মৌলবাদের কাছে ফারসি ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থাও ছিল। রবীন্দ্রনাথ তার সহজ পাঠ এ উল্লেখ করেছেন বরিশালের গৈলা গ্রামের নাম। গৈলা গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন বিজয় গুপ্ত সেন। তিনি ৫শ’ ২৬ বছর আগে মনসামঙ্গল কাব্য রচনা করেছিলেন বাংলায়, যখন অধিকতর প্রচলিত ভাষা ছিল সংস্কৃত।জীবনানন্দ দাশের মা কুসুম কুমারী দেবী। তিনিও গৈলার বাসিন্দা। ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’ কবিতার রচয়িতা তিনি। ১৮৮৫ সালে সাড়ে চার বর্গমাইল আয়তনের এই গৈলা গ্রাম থেকেই গ্রামের এক ছাত্র কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করেন।