আগৈলঝাড়ায় সরকারি খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল ক্রাইম রিপোর্টার:-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় খাল খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের ইরি—বোরে মৌসুমে খালে পানি চলাচল স্বাভাবিক রেখে ক্ষেতে পানি সরবরাহ দেওয়ার জন্য খাল খননের উদ্দে্যগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কপোর্রেশন (বিএডিসি)।আগৈলঝাড়ায় চার কিলোমিটার খাল খনন কাজ চলমান রয়েছে। সঠিক নিয়মে খাল খনন হচ্ছে না বলে স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এই খনন কাজে জড়িত থাকায় অনিয়মের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না কৃষকরা।খাল খনন কাজের তথ্যের জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কপোর্রেশন (বিএডিসি) উপ—সহকারী প্রকৌশলী গৌরনদী অফিসে তথ্যের জন্য গেলে ওই অফিসের উপ—সহকারী প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরি তথ্য না দিয়ে তিনি তথ্যের জন্য সাংবাদিকদের তথ্য আইনে আবেদন করতে বলেন। স্থানীয় ও সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ইরি—বোরো মৌসুমে কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য সরকার থেকে খাল খনন করা হচ্ছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে রাজিহার ও গৈলা ইউনিয়নে চার কিলোমিটার খাল খনন কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলার গুপ্তেরহাট— কুমারভাঙ্গা হয়ে রাজিহার পর্যন্ত চার কিলোমিটার খাল খননের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার আহবান করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কপোর্রেশন (বিএডিসি) বরিশাল অফিস।প্রতি কিলোমিটার খাল খননের জন্য প্রায় ১০ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। টেন্ডারে ফরিদপুর জেলার আর এন ইন্টারন্যাশনাল নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মুন্নু মোল্লা কাজটি পায়। খালের মাঝে বর্তমানে যে মাটি রয়েছে তা থেকে তিন ফুট গভীর করে খাল খনন করার কথা রয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়ে কাজ শুরু করলেও সঠিক নিয়মে কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকরা।ঠিকাদার শুধু খালের একপার ভেকু মেশিন দিয়ে পার পরিষ্কার করে নামে মাত্র খাল খনন করছে। রাজিহার—রাংতার মধ্যবতীর্ স্থানে লিটন বেপারীর পান বরজ থাকায় সে স্থানে খাল কাটা হয়নি। বরজের স্থান ছেচে শুধুমাত্র পরিষ্কার করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষক মামুন আকন ও ফিরোজ ব্যাপারী বলেন, যে ভাবে খাল খনন করলে কৃষকদের সেচ সুবিধা হবে, সে ভাবে খাল কাটা হচ্ছে না।শুধুমাত্র খালের এক পাড় ভেকু মেশিন দিয়ে ছেচে পরিষ্কার করে কিছু মাটি উঠানো হচ্ছে। অনেক স্থানে উঠানো মাটি ভেঙ্গে পড়ে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন, আগামী ইরি—বোরো মৌসুমে খাল কাটার কোন চিহ্ন থাকবে না।এই খাল কাটায় কৃষকদের কোন উপকারই হবে না। এঘটনায় ফরিদপুরের আরএন ইন্টারন্যাশনাল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মুন্নু মোল্লা বলেন, কাজের মান সঠিক না হওয়ায় আমি সরেজমিন গিয়ে দেখে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছি। আজ আপনারা গিয়ে দেখতে পারবেন কাজ বন্ধ রয়েছে।এ ব্যাপারে বরিশাল জোনের বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী (নির্মাণ) এসএম আতাই রাব্বি বলেন, আমি সরেজমিন গিয়ে খাল খনন দেখেছি। চার কিলোমিটার খাল খননের মধ্যে যে পর্যন্ত খাল খনন হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। বাকী খাল পাশে বড় হওয়ায় বড় মেশিন দিয়ে খাল খনন করতে হবে।