ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ সহ ৪ এসপি প্রত্যাহার ঢাকা ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের হেনস্থা রাউজান প্রেস ক্লাবের প্রবিবাদ ও তীব্র নিন্দা বাকৃবিতে প্রায় ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উপস্থাপন শাল্লায় মাদারিয়া বাঁধে ফাটল জয়পুরে নেই পিআইসি ঝুঁকির মুখে ছায়ার হাওর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে শিশির মনির  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদেশ দেওয়ার পরেও বৈধ শিক্ষক এরশাদের বেতন আটকিয়ে রেখে দাপট দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ ঢাকা সাভার পৌরসভার কুলিবিট ইজারা ৩ মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আগুনে বাড়িসহ সব কিছু পুড়ে ছাই হতাশায় কৃষক আবুল হোসেন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে

মো: এরশাদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী।

রাজশাহী জেলাধীন তানোর উপজেলার তানোর পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডের জিওল গ্রামের অতি সহজ সরল নিরীহ কৃষক মোঃ আবুল হোসেন ( ৪৫) এর অতি কষ্টে তৈরি করা পুরো বাড়ি এবং সব সহায় সম্বল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জানা যায় যে গত ০৩/ ০২/২০২৫ ইং তারিখে সন্ধ্যা প্রায় ০৭: ৩০ মিনিটের দিকে বাড়িতে আগুন দেখতে পান প্রতিবেশীরা। ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেন এবং তিনার স্ত্রী মোসা: মুর্শিদা বেগম (৩৫) অতি হতাশায় কান্না করে বলেন অতি পরিশ্রম ও কষ্ট তৈরি করা ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র যেমন- ফ্রিজ, টিভি, আলমারি, সুকেশ, খাট, বিছানাপত্র, চাউল, জামা কাপড় ইত্যাদি সহ, ঘরে থাকা গহনা, নগদ টাকা সহ সব মিলে প্রায় ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আবুল হোসেন অনেক বুকে কষ্ট নিয়ে মহা চিন্তিত মনে বলেন আমার সব শেষ হয়ে গেছে। ঘরে থাকার মত আমার আর কোনই পরিবেশ নাই শুধু আগুনে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্রের কালো চিহ্ন পড়ে আছে ঘরে। তিন মেয়ের বাবা ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেন আরো বলেন এখন আমি খাব কি? পরবো কি? ঘুমাব কোথায়? পুরো বাড়ি আবার নতুন রুপে ঠিক করব কিভাবে? কষ্টের এমন সব কথা বলে আফসোস ও আর্তনাদ করেন আবুল হোসেন এবং তিনার স্ত্রী।

জানা যায় আগুন লাগার কিছুক্ষণ আগে আবুল হোসেনের স্ত্রী বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। অন্যদিকে আবুল হোসেন জিওল- চাঁদপুর মোড়ে যান। বাড়িতে আগুন লাগার মূহুর্তে কোন সমস্য বাড়িতে ছিলেন না। সেই জন্য আগুন লাগার মূল কারণ এখনো জানা যায় নি। জানা যায় প্রতিবেশীরা বাড়িতে লাগা আগুন দেখতে পেয়ে একে অপর কে ডাকাডাকি করে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন এবং তানোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস কে দেরিতে খবর দেওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের চৌকস কর্মী গণ আসার আগেই আবুল হোসেনের সব সহায় সম্বল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
জানা যায় আবুল হোসেনের তিনটি মেয়ে কোন ছেলে নাই। আবুল হোসেন বর্তমানে অনেক বিপদে আছেন। বর্তমানে অসহায় আবুল হোসেন এলাকার সকল মানুষের নিকট থেকে সহযোগিতা কামনা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেন বর্তমানে ব্যাপক হতাশায় নিমজ্জিত। পরিবার কে নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে আবুল হোসেন তানোর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের নিকট এবং সকল সদয় ব্যক্তিবর্গের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

আগুনে বাড়িসহ সব কিছু পুড়ে ছাই হতাশায় কৃষক আবুল হোসেন

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মো: এরশাদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী।

রাজশাহী জেলাধীন তানোর উপজেলার তানোর পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডের জিওল গ্রামের অতি সহজ সরল নিরীহ কৃষক মোঃ আবুল হোসেন ( ৪৫) এর অতি কষ্টে তৈরি করা পুরো বাড়ি এবং সব সহায় সম্বল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জানা যায় যে গত ০৩/ ০২/২০২৫ ইং তারিখে সন্ধ্যা প্রায় ০৭: ৩০ মিনিটের দিকে বাড়িতে আগুন দেখতে পান প্রতিবেশীরা। ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেন এবং তিনার স্ত্রী মোসা: মুর্শিদা বেগম (৩৫) অতি হতাশায় কান্না করে বলেন অতি পরিশ্রম ও কষ্ট তৈরি করা ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র যেমন- ফ্রিজ, টিভি, আলমারি, সুকেশ, খাট, বিছানাপত্র, চাউল, জামা কাপড় ইত্যাদি সহ, ঘরে থাকা গহনা, নগদ টাকা সহ সব মিলে প্রায় ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আবুল হোসেন অনেক বুকে কষ্ট নিয়ে মহা চিন্তিত মনে বলেন আমার সব শেষ হয়ে গেছে। ঘরে থাকার মত আমার আর কোনই পরিবেশ নাই শুধু আগুনে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্রের কালো চিহ্ন পড়ে আছে ঘরে। তিন মেয়ের বাবা ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেন আরো বলেন এখন আমি খাব কি? পরবো কি? ঘুমাব কোথায়? পুরো বাড়ি আবার নতুন রুপে ঠিক করব কিভাবে? কষ্টের এমন সব কথা বলে আফসোস ও আর্তনাদ করেন আবুল হোসেন এবং তিনার স্ত্রী।

জানা যায় আগুন লাগার কিছুক্ষণ আগে আবুল হোসেনের স্ত্রী বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। অন্যদিকে আবুল হোসেন জিওল- চাঁদপুর মোড়ে যান। বাড়িতে আগুন লাগার মূহুর্তে কোন সমস্য বাড়িতে ছিলেন না। সেই জন্য আগুন লাগার মূল কারণ এখনো জানা যায় নি। জানা যায় প্রতিবেশীরা বাড়িতে লাগা আগুন দেখতে পেয়ে একে অপর কে ডাকাডাকি করে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন এবং তানোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস কে দেরিতে খবর দেওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের চৌকস কর্মী গণ আসার আগেই আবুল হোসেনের সব সহায় সম্বল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
জানা যায় আবুল হোসেনের তিনটি মেয়ে কোন ছেলে নাই। আবুল হোসেন বর্তমানে অনেক বিপদে আছেন। বর্তমানে অসহায় আবুল হোসেন এলাকার সকল মানুষের নিকট থেকে সহযোগিতা কামনা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেন বর্তমানে ব্যাপক হতাশায় নিমজ্জিত। পরিবার কে নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে আবুল হোসেন তানোর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের নিকট এবং সকল সদয় ব্যক্তিবর্গের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছেন।