আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: ইতিহাসের মোড় ঘোরানো এক অধ্যায়

- আপডেট সময় : ০২:৪১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

পাপ একদিন ধুয়ে যাবেই। সমস্ত পাপিষ্ঠ একদিন ধরা খাবেই। ভোগ করতে হবে শেষ পরাণতি। ঘনিয়ে আসবে চরম অবনতি। ঠিক এমনই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের স্বাক্ষী :_ আজকের এই দিনটি।
ঢাকা, ১১ মে ২০২৫ — বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের সাক্ষী হলো জাতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর থাকবে যতক্ষণ না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ।
নিষেধাজ্ঞার পটভূমি
গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় সহিংস দমন-পীড়নের অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সময়ে প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয় । এই প্রেক্ষাপটে, দলটির বিরুদ্ধে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইনগত প্রেক্ষাপট ও সংশোধনী
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে, যা রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে । এই সংশোধনীর ফলে, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি এর অঙ্গসংগঠন ও সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতিক্রিয়া ও প্রতিধ্বনি
আওয়ামী লীগ এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল বলে দাবি করেছে। তারা তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “অবৈধ সরকারের সব সিদ্ধান্তই অবৈধ” । অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও অন্যান্য ছাত্রনেতৃক সংগঠন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে ।
ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই দলটির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে “জুলাই ঘোষণাপত্র” চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
মানুষ তার অধিকার ফিরে পাক। অগ্রগতির নতুন ধারায় বাংলাদেশ সামনে আগাক। তাই
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।
তথ্যসূত্র:-
1. প্রথম আলো
2. যুগান্তর –
3. যুগান্তর – ”
4. bdnews24.com