ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে ছয় বছরের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ৩০ খামারীকে প্রশিক্ষণ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, দশজন আহত ঢাকা সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ে নতুন অধ্যক্ষের যোগদান সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে — মির্জা আলমগীর ডাক্তার শহিদুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জি এম আব্বাস উদ্দিন ঢাকা সাভারে জামিনে বের হয়ে বাদীর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ২৫ দেশে প্রথমবারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি

অবশেষে গ্রিনল্যান্ডই ঘটাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার।

বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড বর্তমানে বিশ্বরাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দ্বীপটি বরফে ঢাকা হলেও, এর নিচে লুকিয়ে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ।এসব সম্পদ এবং গ্রিনল্যান্ডের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে এটি এখন বড় শক্তিগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের জায়গা হয়ে উঠেছে।
গ্রিনল্যান্ডের বিশেষ গুরুত্বের অন্যতম কারণ হলো এর ভূ-অবস্থান। এটি ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মাঝামাঝি অবস্থানে অবস্থিত, যা এটিকে একটি কৌশলগত জায়গা হিসেবে পরিণত করেছে।
এই অবস্থান থেকে যুদ্ধ বা সামরিক হামলা ঠেকানো সহজ হতে পারে। এছাড়া, এর বরফ গলার ফলে নতুন শিপিং রুট তৈরি হচ্ছে, যা পৃথিবীর বড় শক্তিগুলোর জন্য বাণিজ্যের সময় এবং খরচ কমাচ্ছে।

এছাড়াও, গ্রিনল্যান্ডের ভূখণ্ডে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ। এর মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, ইউরেনিয়াম এবং অন্যান্য ধাতু, যা আধুনিক প্রযুক্তি যেমন স্মার্টফোন, ব্যাটারি, এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই সম্পদগুলি বিশ্ববাজারে অত্যন্ত মূল্যবান, এবং এর জন্য পৃথিবীর বড় শক্তিগুলি গ্রিনল্যান্ডের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়।

এরই মধ্যে, ২০১৮ সালে চীনও এই অঞ্চলে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। চীন নিজেকে আর্কটিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে এবং গ্রিনল্যান্ডে বড় বিনিয়োগ করতে শুরু করে। বর্তমানে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় গ্রিনল্যান্ডে বেশি উপস্থিতি স্থাপন করেছে।

রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্কটিক অঞ্চলে তার সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। তারা নতুন সামরিক ঘাঁটি, বিমান ঘাঁটি এবং সাবমেরিন ডিপো তৈরি করেছে, যা তাদের এই অঞ্চলে প্রভাব বাড়িয়েছে। রাশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই ভূ-রাজনৈতিক লড়াই এখন তীব্র হয়ে উঠেছে।

বরফ গলার ফলে গ্রিনল্যান্ডের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। নতুন শিপিং রুটগুলোর সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়ার জন্য এই দ্বীপটি এখন শক্তিশালী দেশের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ।

তবে, এই পরিবর্তন শুধু অর্থনৈতিক নয়, পরিবেশগত দিক থেকেও অত্যন্ত বিপদজনক। আর্কটিকের বাস্তুতন্ত্র মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশগত সংকট তৈরি করছে।

ফলে, গ্রিনল্যান্ড শুধু পৃথিবীর বড় শক্তিগুলোর লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেনি, এটি বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ানোরও একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

অবশেষে গ্রিনল্যান্ডই ঘটাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার।

বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড বর্তমানে বিশ্বরাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দ্বীপটি বরফে ঢাকা হলেও, এর নিচে লুকিয়ে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ।এসব সম্পদ এবং গ্রিনল্যান্ডের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে এটি এখন বড় শক্তিগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের জায়গা হয়ে উঠেছে।
গ্রিনল্যান্ডের বিশেষ গুরুত্বের অন্যতম কারণ হলো এর ভূ-অবস্থান। এটি ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মাঝামাঝি অবস্থানে অবস্থিত, যা এটিকে একটি কৌশলগত জায়গা হিসেবে পরিণত করেছে।
এই অবস্থান থেকে যুদ্ধ বা সামরিক হামলা ঠেকানো সহজ হতে পারে। এছাড়া, এর বরফ গলার ফলে নতুন শিপিং রুট তৈরি হচ্ছে, যা পৃথিবীর বড় শক্তিগুলোর জন্য বাণিজ্যের সময় এবং খরচ কমাচ্ছে।

এছাড়াও, গ্রিনল্যান্ডের ভূখণ্ডে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ। এর মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, ইউরেনিয়াম এবং অন্যান্য ধাতু, যা আধুনিক প্রযুক্তি যেমন স্মার্টফোন, ব্যাটারি, এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই সম্পদগুলি বিশ্ববাজারে অত্যন্ত মূল্যবান, এবং এর জন্য পৃথিবীর বড় শক্তিগুলি গ্রিনল্যান্ডের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়।

এরই মধ্যে, ২০১৮ সালে চীনও এই অঞ্চলে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। চীন নিজেকে আর্কটিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে এবং গ্রিনল্যান্ডে বড় বিনিয়োগ করতে শুরু করে। বর্তমানে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় গ্রিনল্যান্ডে বেশি উপস্থিতি স্থাপন করেছে।

রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্কটিক অঞ্চলে তার সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। তারা নতুন সামরিক ঘাঁটি, বিমান ঘাঁটি এবং সাবমেরিন ডিপো তৈরি করেছে, যা তাদের এই অঞ্চলে প্রভাব বাড়িয়েছে। রাশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই ভূ-রাজনৈতিক লড়াই এখন তীব্র হয়ে উঠেছে।

বরফ গলার ফলে গ্রিনল্যান্ডের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। নতুন শিপিং রুটগুলোর সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়ার জন্য এই দ্বীপটি এখন শক্তিশালী দেশের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ।

তবে, এই পরিবর্তন শুধু অর্থনৈতিক নয়, পরিবেশগত দিক থেকেও অত্যন্ত বিপদজনক। আর্কটিকের বাস্তুতন্ত্র মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশগত সংকট তৈরি করছে।

ফলে, গ্রিনল্যান্ড শুধু পৃথিবীর বড় শক্তিগুলোর লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেনি, এটি বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ানোরও একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।