অন্ধকারে আলোর পথ দেখালেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নেই সোলার লাইট স্থাপন

- আপডেট সময় : ০১:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক, ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:-
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ৪ নম্বর ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ জনবসতিপূর্ণ এলাকা গোলদার পাড়ার মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে রাতের অন্ধকারে ঢাকা ছিল পথঘাট। রাতে চলাচলকারীদের নিরাপত্তাহীনতা ছিল চোখে পড়ার মতো। আলো না থাকায় ওই এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এই বাস্তবতা থেকে এলাকাবাসীকে মুক্ত করতে এবং অপরাধপ্রবণতা হ্রাস করতে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করেছেন ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন মাইটিভির যশোর জেলা প্রতিনিধি মোঃ শরিফুল ইসলাম।
ইতিপূর্বে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি উদ্যোগে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সোলার লাইট স্থাপিত হলেও গোলদার পাড়া ছিল এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমনকি সরকারি বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও কিছু বিতর্কিত প্রভাবশালী মহল তা অন্যত্র সরিয়ে ফেলার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর অসন্তোষ দীর্ঘদিনের।
অবশেষে শরিফুল ইসলাম নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে গোলদার পাড়ার মোড়ে একটি শক্তিশালী সোলার লাইট স্থাপন করেন। এ উদ্যোগে সরাসরি সহায়তা করেন গোলদার পাড়ার হাফিজ মিয়ার ছেলে সোহাগ হোসেন।
স্থানীয় এক প্রবীণ বলেন, “এতো বছর পরে এসে অবশেষে আলো দেখলাম। এই আলো শুধু রাস্তায় নয়, আমাদের মনে আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে। শরিফুল মেম্বার শুধু একজন জনপ্রতিনিধি না, উনি আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের মতো ভাবেন।”
শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সরকারি বরাদ্দ না এলেও, মানুষের পাশে আমি থাকবো।এই আলো স্থাপন আমার দায়িত্বের অংশ আমি চাই উন্নয়নও জনসভার এই ধারা অব্যাহত থাকুক এলাকাবাসীর দোয়া ও সমর্থনই আমার শক্তি।
স্থানীয়রা আশাবাদী যে, এমন নেতৃত্ব ও মনোভাবসম্পন্ন একজন প্রতিনিধি আবারও নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে এলাকার আরও অনেক সমস্যার সমাধান সহজ হবে। অনেকে সরাসরি বলেছেন, “আমরা আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরিফুল ইসলামকেই সমর্থন করব এবং বিজয়ী করব, ইনশাআল্লাহ।”
এইভাবে একটি নিরব, কিন্তু অর্থবহ মানবিক উদ্যোগ শুধু একটি এলাকাকেই আলোকিত করেনি, বরং এক স্বচ্ছ নেতৃত্বের বার্তা দিয়েছে—যেখানে জনপ্রতিনিধিত্ব মানেই ‘জনগণের সেবা’।